Posts

Showing posts from April, 2018

সংকলন ৩১- একটি মেয়ের আত্মকাহিনী

লেখাঃ 'Abid Ahmed Chowdhury একটা চিঠি লিখতে বসেছি, চিঠিটা কার কাছে লিখতেছি ঠিক জানি না। প্রাপকের নামটা ফাঁকা রেখে দিলাম, যে'ই পড়বেন ধরে নিবেন আপনার উদ্দেশ্যে লিখেছি। আমি একটা মেয়ে, আর চিঠিটা আমার জীবন কাহিনী নিয়ে। চিঠিটা পড়ে অনুভুতীটা কেমন হয় সেটা বলার প্রয়োজন নেই, শুধু এখানে আমার দোষটা কোথায়একটু খোঁজে দিলে খুশি হব...আমার নাম রোকেয়া, না এটা ইতিহাসের কোন কালজয়ী নারীর নাম নয়। এটা প্রত্যন্ত কোন এক গ্রামের এক লাঞ্চিত, বঞ্চিত, হতভাগা মেয়ের নাম। ২০১১ সালে আমি এসএসসি পরীক্ষা দেই, ব্যাবসা শাখা থেকে, মোটামুটি ভালো একটা ফলাফল পাই, জিপিএ ৪.৮৩। বাবা ছিলেন একজন মুক্তিযুদ্ধা, এখনো বেঁচে আছেন। আর্থিক দিক দিয়ে না হলেও এলাকায় অনেক সম্মানী একজন মানুষ, বর্তমানে একটা আঞ্চলিক সমীতির সভাপতি। পরিবারে অন্যদের মধ্যে আমি, ভাইয়া-ভাবী, আর মা। আমার মা আমার জন্মের আগ থেকেই স্কুল শিক্ষিকা, স্থানীয় একটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ান। ভাইয়াটা নৌ-বাহিনীতে চাকরি করে, বেশির ভাগ সময়টাই তার নৌ-ক্যাম্পে থাকে। আর ভাবীর সারাটা দিনই বাড়িতে কাটে। আমার জীবনটা অন্য আট-দশটা মেয়ের মত অনেক সাধারণ ছিল। হাসি-খুসিতে ভরপূর অনেক সুন্দ...

সংকলন ৩০ - মূহুর্ত - কায়েস রাইহান

-আচ্ছা আমি যদি মরে যাই তুমি কি আরেকটা বিয়ে করবে? চেয়ার থেকে উঠে পরে জানালার কাছে গিয়ে হু হু করে কেঁদে দেয় রিফাত। এই প্রথম ছেলেটাকে কাঁদতে দেখলো অনিতা। ছেলেটা অনেক কঠিন। অনিতার মনে পরে যায় তাদের ব্রেক আপের কথা। ঐ দিনও ছেলেটা একটুও কাঁদেনি। আজকেও ছেলেটা সাদা শার্ট পরে আছে। ওই দিনও সাদা শার্ট পরা ছিল। ছেলেটাকে সাদা শার্ট পরলে অনেক সুন্দর লাগে। কিন্তু ছেলেটা কখনোই বুঝতে চায় নি। সেদিন ছিল দুপুরবেলা। দুর থেকে ছেলেটাকে দেখা যাচ্ছিল -হাই রিফাত -প্রায় একচল্লিশ মিনিট লেইট করে আসছো। -সরি একটা কাজে আটকে গিয়েছিলাম -কি এমন কাজ যে এত দেরি -তোমাকে বলবো কেনো? এটা টপ সিক্রেট -আচ্ছা জানলাম না। হঠাৎ ডাকলে যে? -খুব ইম্পর্টেন্ট একটা জিনিশ আলোচনা করবো -কি? -আমি আর এই রিলেশন রাখবো নাহ। -ও আচ্ছা। আর কিছু? -আমি মজা করছি নাহ। আমি সিরিয়াস। -আচ্ছা। আমি জোর করছি না তোহ তোমাকে। -তোমার খারাপ লাগবে নাহ? -হুম লাগবে -থাকতে পারবে আমাকে ছাড়া? -পারবো।কিন্তু কষ্ট হবে -কতটুকু ভালোবাস আমাকে? -কি জানি -আমি চলে যাই ভালো লাগছে নাহ -আর কিছুক্ষণ থাকো। -কেনো -তোমাকে ফুচকা খাওয়াই। আর তো খাওয়াতে পারবো নাহ। ডুকরে কেঁদে দেয় অনিতা। একস...

সংকলন ২৯ - প্রকৃত বন্ধু - মুনীর আহমদ

#‎দৃশ্যপট_১‬ - কলেজে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছিলো আবির। হটাৎ বন্ধু সোহেলের ফোন, - দোস্ত তুই কই?? - বাসায়। - আমি তো বিপদে পড়ছি! - কি হইছে?? - আমাকে বিনাকারণে পুলিশ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। - বলিস কি! তুই কোথায় এখন?? - তিন রাস্তার মোড়ে!! - আচ্ছা, আমি আসছি। বন্ধুর জন্য কলেজ মিস দেয়া ব্যাপার না। তাই তিন রাস্তার মোড়ের দিকে রওনা দিলো আবির। ‪#‎দৃশ্যপট_২‬ - তিন রাস্তার মোড়ে গিয়ে আবির কিছু বুঝতে পারলো না। পুলিশের চিহ্ন মাত্র নেই। চায়ের দোকানে বসে সোহেল চা খাচ্ছে। - আরে দোস্ত আয়, বস। - কিরে তুই ফোনে কি বললি?? - আরে বেটা পরীক্ষা করলাম। ফোন দিলাম পাঁচ জনকে শুধুমাত্র তুই এলি আর কেউ আসে নি। - তার মানে পুরো ব্যাপার টা বানানো?? - হ্যাঁ রে দোস্ত, তুই আমার প্রকৃত বন্ধু! - আমি তোর প্রকৃত বন্ধু হতে পারি কিন্তু তুই আমার প্রকৃত বন্ধু না। - মানে?? - মানে হলো প্রকৃত বন্ধু কোনদিন বন্ধুত্বের পরীক্ষা নেয় না। তুই স্বার্থপর। বন্ধুত্বের মধ্যে কোন স্বার্থ নেই, নিস্বার্থ ভাবে যে সম্পর্ক থাকে তাকেই বলে বন্ধুত্ব, আমি চললাম। সোহেলকে অবাক করে দিয়ে হাটা ধরলো আবির। হটাৎ মনে পড়লো কলেজে আজ গুরুত্বপূর্ণ একটা ক্লাস আছে, এটি মনে করেই হাটা...

সংকলন ২৮ - 'জোকার' -মাহির আবরার

একটু পরই সন্ধ্যা নামবে। এ সময়টায় আবেগ কেন জানি একটু বেশিই কাজ করে। পৃথিবীটা এসময় অসাধারন এক রূপে সাজে। এ রূপ কেবলই দেখবার; উপলদ্ধি করবার। রুদ্র প্রায়ই এ সময়টা বারান্দায় কাটিয়ে দেয়। আজও এর ব্যাতিক্রম হচ্ছে না। গান শুনছে ও। ডান কানে একটা ইয়ারপিস গুঁজে রেখেছে। ওর সান্ধ্যকালীন প্লেলিস্ট টা একটু অন্য ভাবে সাজানো। বেশির ভাগই রবীন্দ্র সংগীত। বাবা মার একমাত্র সন্তান রুদ্র। স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছে। দারুন আড্ডাবাজ প্রানবন্ত একটা ছেলে। একেবারে আড্ডার প্রাণ। হাসি-তামাশায় আড্ডা মাতিয়ে রাখতে রুদ্রের জুড়ি মেলা ভার। রুদ্র গান শুনছে আর উঁকিঝুঁকি মেরে কিছু একটা দেখবার চেষ্টা করছে। ঘড়িতে সময় ৫ টা বেজে ৫০ মিনিট। রুদ্রের দৃষ্টি সামনের বিল্ডিং এর চতুর্থ তলার বাম পাশের ফ্ল্যাটের বারান্দায়। কিছুক্ষনের মধ্যেই সমবয়সী একটা মেয়েকে দেখা যায় ওপাশটায়। বারান্দায় এসেই হাতের হালকা ইশারা। এর মানে হল ফেসবুকে ঢুকতে হবে। রুদ্র জানে মেয়েটা এটাই বলবে। হয়ত প্রায়ই বলে। তড়িঘড়ি করে লগইন করল রুদ্র। এরপর কিছুক্ষণ একান্ত কথোপকথন- রুদ্রঃ কেমন আছ? -ভাল। তুমি?? রুদ্রঃ হুমম। ভালই। আজ ভার্সিটি যাও নি? -না। ...

সংকলন ২৭ - বেলা শেষে তোমারই অপেক্ষায়- জাহিদ হাসান

যখন চৈত্র সংক্রান্তিতে এলেনা, ভাবলাম পহেলা বৈশাখে আসবে।আমার চারপাশ নানা আয়োজনে মুখরিত। পহেলা বৈশাখের সেই রঙিন সকালে আমিও প্রস্তুত কোন অপ্সরীকে বরণ করে নেয়ার জন্য।তোমার জন্য রমনার বটমুল থেকে শুরু করে চারুকলা কিংবা টিএসসি সবখানে বার বার হুমড়ি খেয়ে পড়েছি, আমার চোখের সামনে গোধুলীর শেষ আলো বিলিন হয়ে গেল কিন্তু তুমি এলেনা।যার জন্য দিবানিশি প্রতিক্ষার প্রহর গুনি তার প্রতি রাগ করা আমার সাজেনা। তুমি আসনি তার পরও আমি রাগ করিনি। মনে মনে ভেবেছি তুমি হয়তো কোন জরুরী কাজে বাধা পড়ে গেছ।আমার মন আমার সমস্ত চিন্তাচেতনা তোমাকে ঘিরে। চৈত্র সংক্রান্তিতে আসনি,পহেলা বৈশাখেও আসনি,জৈষ্ঠ্যের খররৌদ্রের মাঝেও হয়তো আসবেনা,কিন্তু তোমার পথ চেয়ে আমার দিনাতিপাত থামানোর আমার কোন ইচ্ছে নেই। যাক আরো দুটো বসন্ত,একটা চৈত্রসংক্রান্তি কিংবা কয়েকটা উৎসব মুখর পহেলা বৈশাখ, আমি আগের মতই অপেক্ষার ডালি সাজিয়ে বসে রবো তোমার জন্য।তুমি কি আসবে? তুমিতো জানো আমার ছোট্ট একটা বোন আছে। ওর নাম মিফরা।বোনই আমার বন্ধু।আমার এই অনাদিকালের অপেক্ষা দেখেও ও কখনো হাসেনি। বন্ধুর মত কাধে হাত রেখে বলেছে ভাইয়া দেখিস সে আসবে। আমি আমার বোনের কথা অবিশ্বাস...

সংকলন ২৬ - অভিমান - মুনীর আহমদ।

উৎসর্গ - " প্রিয় সালমা কে । " অফিসে দেরি করে পৌছানোর রেকর্ড নেই হাসান আহমেদের। স্বভাব মতই আজও সঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছে গেছেন তিনি। কাজ শুরু করার আগেই হাসানের একমাত্র শ্যালক সেলিম আসলো তার সাথে দেখা করতে। মাসের শুরুর দিকে হাসানের শ্যালক আসে তার সাথে দেখা করতে। তবে মাঝেমধ্যে এক মাসে কয়েকবারও আসে। দেখা করতে আসার কারণ দুলাভাইয়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে যাওয়া। হাসানের কাছ থেকে টাকা নেয়া নিরাপদ। কারণ এই লোকটি টাকা দিতে কখনো অসম্মতি জানায় না আর কাউকে বলেও না। - দুলাভাই, কেমন আছেন? -- আছি ভালই। তুমি আছো কেমন? - জ্বী ভালই। -- চা দিতে বলি?? - না থাক। একটা প্রয়োজনে এসেছিলাম। -- কত লাগবে তোমার? - দুলাভাই, আপনি আমার প্রয়োজনটা কিভাবে বুঝে ফেলেন! বেশি না মাত্র ১ হাজার। হাসান মানিব্যাগ বের করতে করতে ভাবছিলো অনেকেই বলে শালা ছাড়া বিয়ে করবে। এর মর্ম এখন বুঝতে পারছে হাসান। শ্যালকরা দুলাভাইদের বানরের মত জালিয়ে যায়। - এই নাও টাকা। -- ধন্যবাদ ভাই। এখন গেলাম। (দুই) হাসান দুশ্চিন্তাতে পড়ে গেল। প্রতিদিন দুপুরে হাসান বাসায় ফোন দিয়ে তার স্ত্রী সালমার সাথে কথা বলে। আজকেও ফোন দিয়েছিলো। কিন্তু মোবাইল কেউ ধরেনি। ট...

সংকলন ২৫- তোমার হাসিতে আমার সুখ -মহাকাব্য'র কাব্যিক

রোজ সকালে ছেলেটিকে রাস্তার মোড়ে দেখা যেতো। ছেলেটি কিসের জন্য দাঁড়ায় হয়তো খুব কম মানুষ তা জানে।নীল-সাদা ড্রেস পরা মেয়েটি প্রতিদিন ঔ রাস্তা ধরে কলেজে যায়।আর ছেলেটি মেয়েটিকে দেখার জন্য দাঁড়িয়ে থাকে। ছেলেটির নাম সাব্বির। মেয়েটির নাম অর্পা। তাদের কলেজ ভিন্ন।ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে দুইজনই পড়াশুনা করে।অর্পা ওর কলেজের ফার্স্ট গার্ল,আর, সাব্বির ওর কলেজের ফার্স্ট বয়।দুই কলেজের ভিতর ভীষন কম্পিটিশন।একজন অপরজন কে সবসময় হারানো চেষ্টা করতো। সাব্বিরে আর অর্পা পাশাপাশি এলাকায় থাকে। তাদের মধ্যে সবসময় যুদ্ধ চলতো।রাত একটু গভীর।চাঁদ টা মেঘের ছায়ায় ঢাকা পরেছে।চাঁদ মামা নিভু আলো দিচ্ছে।। অর্পা টেবিলে বসে পড়ছে,কাল পরীক্ষা।সাব্বির আর কয়েকজন বন্ধু মিলে অর্পাকে ভয় দেখাবে এই প্লান করে। রাত তিনটা বেজে একমিনিট। পরিবেশে একবারে নিরব।হঠাৎ অর্পার টেবিলের পাশে জানালায় কে যেনো ধাক্কা দিলো,জোরে জোরে শব্দ করতে লাগলো।অর্পা ভয়ে চিৎকার শুরু করলো। অর্পার চিৎকার শুনে বাবা-মা দৌড়ে অর্পার রুমে আসে। পরেরদিনের পরীক্ষাটা ভালো হয়নি। বোধহয় ফেল করবে।ঠিকই রেজাল্টে এক বিষয় ফেল আসে।খুব মন খারাপ।ছাদে এক কোনে চুপ করে বসে আছে।হঠাৎ সেইদিনের কথা...

সংকলন ২৪ - আধাঁরে ছায়া -আবির

শুভঃ দোস্ত মেয়েটা সেইরকম । দুস্ত ওরে ছাড়া বাঁচুম না । প্রথম দেখাতেই ফিদা ।পুরো পরীর মত । একটা ব্যবস্থা করস না । তপুঃ ঐ কি বলছিস এটা ? তুই না অনিকার সাথে প্রেম করতি ? শুভঃ আরে করতাম করতাম এখন করিনা । আর মেয়ে অনেক দেমাগী ।। খারাপ . সময় দিতে চায় না.....ব্লা ব্লা তপুঃ কি বলছিস এটা ? কবে ব্রেকাপ হল ? শুভঃ এইত গত পরশু । তপুঃ এইটা কোন কাজ করলি ? তা বাদ দে এই মেয়ের কি নাম ? কে ? কই পড়ে ?  শুভঃ নাম তন্নি , পড়ে আমাদের সাথেই । তপুঃ ও । বাদ দেরে ভাই । এইটা ঠিকনা । তুই ত ওর সাথেও জাস্ট টাইম পাস করবি । শুভঃ নারে দোস্ত বিশ্বাস কর । টাইম পাস করুমনা । ওরে আমি সত্যিই খুব ভালবাসি । ওরে আমার সত্যিই পছন্দ হইছে । প্রথম দেখায় একেবারে ফ্ল্যাট হয়ে গেছি । তপুঃ ধূর ব্যাটা সেই স্কুলে থাকতেও তুই একই কথা বলতি । এখন আবার ওর পিছনে ? শুভঃ দোস্ত এইটাই সত্যি । ওরে দেইখাই ফিদা হয়ে গেছি ।। ওর সাথেই.... দুস্ত মেয়েটা অনেক ভাল । দেখিস না কারো সাথে তেমন কথা বলে না । সমসময় চুপচাপ থাকে । ও খুব ভালো । তাছাড়া আগে কারো সাথে প্রেম নাই । ওর মত পবিত্র নাই । তপুঃ আচ্ছা যা হেল্প করব । তার আগে এটা বল তুই ওকে বিয়ে করবি ? শুভঃ বিয়ে ...

সংকলন ২৩ - বুবুন -মহাকালের সৈনিক

অর্পিতার ঘুমন্ত নিষ্পাপ মুখটার দিকে তাকিয়ে আছি আমি ।এমনিতেই অর্পিতার চেহারার মাঝে একটা সদ্য ফোটা গোলাপের সজীবতা আছে । তার সেই সজীবতা আরো বেশি প্রকাশ পায় সে যখন ঘুমায় তখন । লোকে বলে ,যে মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থায় সুন্দর লাগে সেই আসল সুন্দরী ।সৃষ্টিকর্তাকে জিঙ্গেস করতে ইচ্ছে হচ্ছে কিভাবে অর্পিতাকে এত সুন্দর করে সৃষ্টি করলেন তিনি..... . . গ্রীষ্মের দুপুরে যখন মাথার উপর সূর্যটা গলগল করে তখন আমাদের সামনে যদি কাঁচা আমের ভর্তা থাকে তবে সেটি একটু চেখে দেখার ইচ্ছা নিবারণ করা আমাদের পক্ষে অনেক কষ্টসাধ্য একটা ব্যাপার হয়ে পড়ে।অর্পিতার ঘুমন্ত মুখটা দেখে তার ঠোটে আল্পনা এঁকে দেয়ার ইচ্ছাটা আর দমিয়ে রাখতে পারলাম না আমি। সেই ইচ্ছে থেকে অর্পিতার ভেজা তুলার নরম গোলাপি ঠোঁটের ওপর আমার নিকোটিনে পোড়া ঠোঁট দুটি চেপে ধরলাম ।সে কি অর্পিতাও আমার মাথাটা তার হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরলো । বুঝেছি মহারাণী ঘুমান নি ।এতক্ষণ আমার সাথে মজা নিচ্ছিলেন... . . অর্পিতাকে পাঁজা কোলে করে তুলে আনলাম রান্নাঘরে ।সে চা বানাচ্ছে আর আমি তাকে সুখের অত্যাচার করে চলেছি . . . ~এই এই কি করছো তুমি ! ~কেন তোমার সেন্স হিউমার কি মরে গিয়েছে নাকি ।তোমার চ...

সংকলন ২২- ভালোবাসা আসুক ধীরে- আল মামুন কৌশিক

- ভাইয়া আপনার পাশে একটু বসবো? - ধরে নেন বসার জায়গাটা আপনার। - আচ্ছা আপনি সবসময় একটা উদাস ভঙ্গি নিয়ে থাকেন কেনো বলেন তো? - দিক হারা ভ্রান্ত পথিক, খুঁজি পথের দিশা। সাহিত্য নিয়ে পড়াশুনা করি তো, একটু আলগা ভাব থাকতে হয়। - মেয়েদের সাথে কি এই ভাবটা একটু বেশিই দেখান? - তা ঠিক। এটা মেয়েদের দৃষ্টি আকর্ষণের একটা পদ্ধতি বলতে পারেন। - আমাকে তো সব বলেই দিচ্ছেন দেখি। আমি তো তাহলে আর আপনার ছলনায় ভুলবো না। - নতুন করে ভোলার কিছু কি অবশিষ্ট আছে? আপনি তো সেই প্রথম থেকেই ভুলে বসে আছেন। - আপনার ধারনা ঠিক না। লজ্জা পেয়ে চলে যাবার জন্য উঠে দাড়ায় অদ্রিতা। - আমি জানতাম আপনি এখনই চলে যাবেন। - চলে না গিয়ে কি করবো? আপনার হাত ধরে বসে বসে কবিতার লাইন শুনবো? - আচ্ছা ঠিক আছে। আপনি চলে যান। আমি বরং অন্য কারো জন্য অপেক্ষা করি। রাগে দুঃখে চোখে জল চলে আসে অদ্রিতার। মানুষটা বুঝলো না ওকে। ওকে এতটুকু পাত্তা দিলো না। মানুষটার মাঝে অদ্ভুত কি যেন একটা আছে তাই এতো ভালো লাগে তাকে। প্রতিদিনই তাকে দেখে সে কিন্তু কখনও কাছে যায় না ও। আজ আকাশি একটা শাড়ি পড়ে এসেছিলো ভার্সিটিতে। আজকে বাসা থেকে বের হবার সময় মা বলেছিলো ঠিক চ...

সংকলন ২১- বাবু'র বাবা'টা - রাফিউজ্জামান সিফাত

বাবু'র বাবা'টা না খুব বোকা! আমি বললাম বাবু ঘুমাচ্ছে , কাশতে হলে বারান্দায় যাও... ওমা সত্যি সত্যি এই শীতের রাতে সে উঠে বারান্দায় চলে গেল। একটু ভেবেও দেখলো না, বাবু একবার ঘুমিয়ে পড়লে সকাল না হওয়া পর্যন্ত জেগে উঠে না, এইটা বাবুর অভ্যাস। অথচ বাবুর বাবাটা বুক খামচে দাঁতে ঠোঁট চেপে কাশি আটকে বারান্দায় গেল। কাশি চাপিয়ে রাখা কঠিন। বাবু'র বাবা'টা কঠিন কাজ অনায়াসে করে ফেলতে পারে। যখন বাবু আল্লাহ্‌'র কাছ থেকে আমাদের কাছে আসবে সেদিন থেকে বাবু'র বাবা'টা কঠিন কঠিন সব কাজ করে আসছে। আমাদের বিয়ে তো কেউ মেনে নেয়নি, তাই বাবু আসার দিন আমাদের কাছে কেউ আসেনি।তাদের যে বড্ড অভিমান! আমার রক্ত দরকার পড়েছিল, বাবুর বাবার সাথে আমার রক্তের মিল। ডাক্তার রেজা বাবু'র বাবা'কে বলল - এমদাদ সাহেব চলুন , এখনি আপনার রক্ত লাগবে, চলুন চলুন, ওমা আপনি এখনো আপনার স্ত্রীর হাত ধরে রেখেছন কেন? ছেড়ে দিন , আমার সাথে চলুন, আপনার রক্ত লাগবে, চলুন এমদাদ সাহেব , দেরী করবেন না। বাবু'র বাবা'টা যেতে পারছিল না। যাবে কীভাবে, আমি তো শক্ত করে তার হাত ধরে রেখেছিলাম!! আমার ভয় করছিল , খুব ভয় করছিল।শ...

সংকলন ২০- অপূর্ণতা --রওনক ইসলাম

শায়নার সাথে সম্পর্ক বৈধ করার কাজটা সহজ ছিল না। অনেক বেশি আকাঙ্ক্ষার বস্তুগুলো সহজে পাওয়া যায় না কখনো। ধৈর্য্য ধরতে হয়, পরিশ্রম করতে হয়। বুকে পাথর বেধে অনেক ইচ্ছা-স্পৃহা বলি দিতে হয় নিজ হাতে। আমাদের পরিচয়টা হয়েছিল ভায়োলিন ক্লাসে। সংগীতের প্রতি কমবেশি ঝোঁক থাকলেও বাদ্য বাজনার দিকে আগ্রহ আমার বরাবরই কম ছিল। ভার্সিটির এক অনুষ্ঠানে হঠাৎ করেই একদিন স্কটিশ সিম্ফোনি শুনে ভায়োলিনের প্রতি আগ্রহ জাগে। হন্য হয়ে খুঁজে বেড়াই ভায়োলিন শেখার পাঠশালা। গন্তব্য মেলে অনেক দিন পরে এসে। ততদিনে ভার্সিটি জীবন প্রায় শেষ। যার কাছে শিখতে যেতাম, তার নাম সৌমিত্র আচার্য্য। আমরা ডাকতাম গুরুজি বলে। গুরুজি ছিলেন পাগলা কিসিমের মানুষ। তার জীবনের একমাত্র আফসোস ছিল অন্ধ হয়ে না জন্মানো। জন্মগত অন্ধ হলে নাকি সুরগুলো আরও গভীর থেকে অনুভব করা যায়। পাকধরা সাদা চুলে হাত বুলোতে বুলোতেই তার বেহালাটা নাড়তেন তিনি। আমরা গুণমুগ্ধ হয়ে শুনতাম। গুরুজির সবথেকে প্রিয় আর পুরনো ছাত্রী ছিল শায়না। মেয়েটার গায়ের রং কালো। কিন্তু সবসময়ই ডায়মন্ডের মতো আলোক বিচ্ছুরণ করতে থাকে চারপাশে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় ছিল তার চোখ। চোখ দুটো দুরকম, কিন্তু অসম্ভব সুন্দ...

সংকলন ১৯- অহো-কথা -গোধূলি বিশ্বাস সীজন

বুধবার রাত ১১টা। দরজার বেল বাজলো। অহনা দরজা খুলল। লম্বামতন একজন, খোঁচাখোঁচা দাড়ি। অহনা সবিস্ময়ে বলল, "অপু" "কিরে, অহো " "এই অসময়ে কেউ ভদ্রলোকের বাসায় আসে?" "I guess,এটা ভদ্রলোকের বাসা নয়। ভদ্রলোকের বাসার দারোয়ান ঢুকতে দিল যে। ফ্রেন্ডের বাসায় আসার কোন নির্দিষ্ট টাইম আছে নাকি? ভেতরে ঢুকতে দিবি না?" "আয় ,কিছু খেয়ে এসেছিস নাকি?" "আমার মত celebrityদের মাঝেমধ্যে একটুআধটু ... বুঝিসই তো" ড্রইংরুমে সোফায় ধপ করে বসে পড়ল অপু। বলল, "কেমন চলছে তোর সংসার? তোর husband কই?" "উনার জন্যই তো wait করছি। প্রায়ই দেরী হয়।" "বেশ মুটিয়ে গেছিস।" "তিন মাস চলছে।" লাজুক ভঙ্গিতে বলল অহনা । "কেন? তোর husbandএর কি তর সইল না?" "আমার সয় নি,তাই। তোর খবর বল।" "এই তো আছি বেশ। আমার filmগুলো দেখেছিস? আজকাল টিভি,নিউজপেপারে প্রায়ই-" "না দেখিনি।" "Oh,God! কি বলিস? তুই জানিস, আমি আমাদের দেশের film industryতে legend হতে যাচ্ছি। 1st filmটা হিট না হলেও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।" "প...

সংকলন ১৮- ভালোবাসার ক্ষমতা

লেখাঃ অনিক আহসান _হ্যালোঃ অনিক তুমি কোথায় । _এইতো বার্ড আসছি জ্যামে আটকা পড়ে আছি ,কিছুক্ষন এর ভিতরেই চলে আসবো ।তুমি একটু বসে থাকো ? _জলদি আসো আমি কখন থেকে বসে আছি তোমার অপেক্ষায় । _এইতো বার্ড আসছি । আসতে অনেক দেরি হয়ে গেলো ,গিয়ে দেখি নাবিলা মন খারাপ করে বসে আছে । আমাকে দেখে অন্য দিকে মুখ ঘুরে নিলো ।এই মেরেছে এইবার তোর বার্ড রেগে গেছে ।সরি বার্ড আর লেট হবে নাহ ,রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো এইজন্য আসতে অনেক লেট হয়ে গেলো প্লিজ রাগ করে না আমার বার্ড ।এই দেখো আমি কান ধরছি আর লেট হবে (মেয়েটি অনেকে জেদি) ওওও বার্ড কি হলো কথা বলবা নাহ ,কথা না বললে আমি কিন্তু চলে যাবো । চলেই যাচ্ছিলাম পিছন থেকে আমাকে হাত টা টেনে ধরলো ? _কি হলো আমাকে একা রেখে চলে যাচ্ছো কেনো । _তুমি আমার সাথে কথা বলো না কেনো ,সত্যি রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিলো সরি । _ ইটস ওকে ,আই লাভ ইউ বেবি । _আই লাভ ইউ টু বার্ড (নাবিলা আমাকে বেবি বলে ডাকে আর আমি ওকে বার্ড বলে ডাকি )চলো ফুসকা খেয়ে আসি । _ওকে চলো ,ফুসকা আমার খুব প্রিয় । _তোমার প্রিয় জন্ই তো তোমাকে খাওয়াতে চাচ্ছি । _ওহ তাই নাকি ,তুমি জানলা কেমনে ফুসকা আমার...

সংকলন ১৭- ৩০০ মিনিটের গার্লফ্রেন্ড- নাহিদ হোসাইন

এটি ২০১০ সালের ঘটনা নিহাদ বন্ধ থাকা বাংলালিংক সিমটা চালু কর, তারপর অচেনা নাম্বার থেকে একটা মেসেজ আসে। মেসেজে লিখা ছিলঃ "I Love You" তারপর BL অফিস থেকে একটা মেসেজ আসে, তাতে লিখা ছিলঃ “You have got 300 min. Bonus” নিহাদ তো খুশিতে আটখানা। তারপর ঐ নাম্বারে কল দিল। রিসিভ করার পর সুমধুর মেয়েলি কণ্ঠে বলে উঠলো, -কেমন আছো ? -ভালো। কিন্তু আপনি কে? -আমি ডানা কাটা পরী। উড়তে উড়তে ডানা কেটে পড়ে গেছি। -হুম বুঝলাম, তা “I love u” মেসেজ দিলেন কেন? -কারণ আমি তোমাকে ভালবাসি তাই। -ফাজলামি আমার ভালো লাগেনা, পরিচয় দেন নয়তো রাখলাম। - এই শোন শোন, আমি শরমি। তুমি আমাকে চিনবে না, কিন্তু আমি তোমাকে ভালো করেই চিনি। তুমি ভৈরব টেকনিক্যালে ইলেকট্রিকাল বিভাগে পড়ো, তোমার রোল- ১ ইত্যাদি। শরমি নামের মেয়েটি নিহাদের ব্যাপারে সব বলে দিতে লাগলো। নিহাদ অবাক হয়ে ভাবতে লাগলো মেয়েটি কে? আমার ব্যাপারে সব জানে কিন্তু আমি ওকে চিনতে পারছিনা কেন? নিহাদের ক্লাসের ঐ মেয়েটার কথা মনে পড়লো, যে মেয়েটা ওর দিকে মাঝে মাঝে তাকিয়ে থাকতো, মুচকি হাসতো। নিহাদ মনে করলো শরমি হয়তো ঐ মেয়েটাই। কিন্তু না পরে দেখল ফোনের শরমি আর ঐ মে...

সংকলন ১৬- আদিবা

লেখাঃ কনফিউজড ফিলিং মোবাইলের রিংটোনেই ঘুম ভাঙ্গলো আদিবার। - হ্যালো.. - আদিবা আমি নিতা.. (কাঁপা কন্ঠে) - তুই নিতা, সেটা তো আমি জানি.. তোর কন্ঠ এমন শুনা যাচ্ছে কেন? কোন সমস্যা..? - আদিবা আমি মনে হয় রাশেদকে দেখলাম.. - রা.. শে..দ কে দেখলি মানে, কোথায় দেখলি? আর মনে হয় মানেটা কি? তুই কি রাশেদকে চিনিশ না... - না মানে, রাশেদকে চিনার মত অবস্থা নাই.. মুখ ভর্তি দাড়ি, এলোমেলো চুল.. ময়লা জামা কাপড় পড়া, ছোট ছোট ছেলেরা, ওকে পাগল পাগল বলে ‪#‎তাঁড়া‬ করছিল.. - তুই ঠিক চিনেছিস..? - না, তবে ফিফটি ফিফটি... তবে আমি ওর সামনে যেয়ে রাশেদ বলে ডাকলাম ও আমার দিকে তাকিয়ে আবার হাটা শুরু করলো... আমি ওর একটা পিক তুলেছি, তোকে আমি পিকটা সেন্ড করছি, দেখতো, ও রাশেদ কিনা..? - দে.. - দিয়ে দিয়েছি দেখ.. - পিকটার দিকে তাকিয়ে আদিবা কাদঁতে লাগল.. - ওপাশ থেকে আদিবার কান্নার শব্দ শুনেই বুঝতে পারলো.. ওর অনুমান ফিফটি ফিফটি না, ওটা রাশেদ ই ছিল... - তুই কখন দেখেছিস রাশেদকে.. - দেখেই তো তোকে সাথে সাথে ফোন দিলাম... - তুই কোথায় আছিস এখন... - ফার্মগেট, সেজান পয়েন্টের সামনে.. - রা..শে..দ কোথায়..? - তোকে ফোন দেওয়ার পর চোখের আড়াল হয়ে গ...

সংকলন ১৫- অবনী - ইমন চৌধুরী

"মনে হয় তুমি আমাকে খুব অল্প ভালবাস" হঠাত্ এমন মন্তব্যে অবনী হকচকিয়ে গেল, যাওয়ারই কথা এমন কথা বলার মত ছেলে যে আমি নই.. তবে যেহেতু বলেছি নিশ্চই লজিক আছে.. -এমন কথা বলছ কেন?আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি বিশ্বাস কর.. এই মেয়েটাকে কখনও সিরিয়াস হয়ে কথা বলা যায় না,বললেই খুব ইমোশনাল হয়ে যায় আর এমনভাবে কথা বলতে শুরু করে যেন এখনই কান্না জুড়ে দিবে.. -আমার ডাউট হয় -কেন ডাউট হয় কেন? -যদি ভালবাসই তাহলে আমি কেন আমার অতীত ভুলতে পারি না?শুধু তোমাকে নিয়ে কেন ভাবতে পারি না.. -সেটা তো তুমি আমাকে কম ভালবাস তাই.. -তুমি যদি বেশি করে ভালবাসতা তাহলে আমি তোমাকে বেশি করে ভালবাসতাম... -বিশ্বাস কর আমি তোমাকে বেশি করে ভালবাসি.. -কিভাবে বুঝব?প্রমাণ দাও যে অনেক ভালবাস.. -কিভাবে প্রমাণ দিব? -আমি কি জানি যদি বেশি করে ভালবাস তবে প্রমাণ কর.. -আমি কিভাবে প্রমাণ দিব??আচ্ছা দেখ আমি তো সবসময় তোমাকে মিস করি বল? -সবসময় মিস কর এটা তো সত্যি না.. -কেন সত্যি না? -দেখ মিস করলে তো কল দিতা বা মেসেজ করতা তাই না,সবসময় মিস করলে সবসময় এমন করতা কিন্তু তুমিতো সবসময় এমনটা কর না,দিনে দুবার তোমার কল পাই..তার মানে দুবার তুমি আমাকে মিস কর.....

সংকলন ১৪- মাইশার গল্প

স্টেশনের ওয়েটিং বেন্ঞ্চিতে বসে আছে মাইশা । তার বসার ভঙ্গিটি বিষণ্ন । সাড়ে এগারোটায় তার ট্রেন । সময় প্রায় হয়ে এল । কিন্তু তার ব্যস্ত চোখ এখনো এদিক ওদিক কাকে যেন খুঁজে বেড়াচ্ছে । সে চোখে স্পষ্ট হতাশা, আশা ভঙ্গের যাতনা । মাইকে লাস্ট এনাউন্সিং টা শোনা গেল । ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়াল সে । ধীর পায়ে এগিয়ে গেল তার কামরার দিকে । তার হতাশা এখন ক্ষোভে রূপ নিয়েছে । 'হারামির এত্তবড় সাহস, আমাকে সি অফ করতে আসে না ! আর জীবনেও বদমাইশটার সাথে কথা বলব না'- দাঁত কিড়মিড়িয়ে উঠে সে । ট্রেনের সিঁড়িতে পা রাখতেই চোখের কোণা দিয়ে কাকে যেন ছুটে আসতে দেখা গেল । সেদিকে না তাকিয়েই বুঝতে পারল নীল আসতেছে । এতক্ষণে ঠোঁটের কোণায় মিষ্টি হাসি দেখা গেল । হাঁদারামটা অলওয়েজ লেট । আর একটু দেরি হলে তো দেখা হওয়াটাই মিস হয়ে যেত । নীল এসেই হাঁফাতে হাঁফাতে বলল- স্যরি স্যরি স্যরিরে... মাইশার কন্ঠে কপট রাগ- তোরে না বলছি ঐ বাজে শব্দটা আমার সামনে আর উচ্চারণ করবি না ? এত দেরি করলি ক্যান ? আর একটু হলেতো দেখাই হত না । যা তোর সাথে আজ আর কথা নাই ! নীল কান ধরে ন্যাকু ন্যাকু স্বরে বলে- এত রাগ করিস ক্যান ? এই যে দেখ- কান ধরছি । আর কোনদিনও ...